দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের দক্ষিণপশ্চিম পাড়া গ্রামে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে অর্পিত সম্পত্তির পুকুরে ও মাহিলাড়া বাজার সংলগ্ন ভীমেরপাড় এলাকায় কৃষি জমিতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলণ শুরু করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে হুমকির মূখে পরেছে পুকুরের পাড়সহ আশপাশের স্থাপনা। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় বিএনপি নেতা
সুলতান ফকির তার আত্মীয় সাগর হাওলাদার ও রানা নামের দুইজনের সহায়তায় অর্পিত সম্পত্তির ওই পুকুর থেকে অব্যাহত ভাবে বালু উত্তোলণ করে আসছেন। এবিষয়ে সুলতান ফকির জানান, বাটাজোর ইউনিয়নে ছয়টি ড্রেজার চালু আছে সবগুলো বন্ধ হলে তারটাও বন্ধ করা হবে। অপরদিকে ভীমেরপাড় গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় মাহাবুব সরদার নামের এক ব্যক্তি গত কয়েকদিন যাবত কৃষি জমির মধ্যে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলণ শুরু করেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাটাজোড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার লুৎফর রহমান জানান, ওই পুকুরটির মধ্যে ৮০ শতক সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানাধীণ বাকী ৬২ শতক অর্পিত এবং ইউনিয়ন পরিষদের নামে ৪১ শতক সম্পত্তি রয়েছে। তিনি আরও জানান, সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশনা মোতাবেক ওই পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করতে সংশ্লিষ্টদের তিনি বাঁধা প্রদান করেছেন। কিন্ত বাঁধা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলণ করা হয়েছে। বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে জানিয়েছি। সে আমাকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করতে বলেছেন কিন্তু আমার নিরাপত্তার কারনে এখনো মামলা করা হয়নি। ভূগর্ভস্থ কোন সম্পত্তি থেকে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এবিষয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, অর্পিত সম্পত্তির পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। তিনি আরও জানান, যদি কেউ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন করেন তাইলে আমার কিছু করার নেই। সেটা বৈধ বা অবৈধ ড্রেজার যাই হোক।
Leave a Reply